পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদেয় তারিখে ক্লাস শুরু হবে। প্রতিদিন বিকাল ৪:৩০ মিনিটে ক্লাস শুরু হবে, এবং চার পিরিয়ড ক্লাস হবে। প্রতি সপ্তাহে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চলবে (ছুটির দিন বাদে)। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাধ্যতামূলক ইনকোর্স পরীক্ষা: প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত সময়ে প্রতি সেমিস্টারে ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ইনকোর্স পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তারিখ নির্ধারণ সাপেক্ষে, শিক্ষাবর্ষের ডিসেম্বর মাসে ১ম সেমিস্টার ইনকোর্স পরীক্ষা, এবং জুন মাসে ২য় সেমিস্টার ইনকোর্স পরীক্ষা আরম্ভ হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা হিসাবে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্লাসে ৭৫% উপস্থিত থাকতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী এর কম উপস্থিত থাকলে, তাকে নন-কলেজিয়েট ঘোষণা করা হবে।
ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল: Cumulative Grade Points Average (CGPA)-এর ভিত্তিতে ইনকোর্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ১ম সেমিস্টার হতে ২য় সেমিস্টারে প্রোমশন পেতে হলে, ১ম সেমিস্টারের সব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, নুন্যতম CGPA ২.০০ পেয়ে পাশ করতে হবে। পরবর্তীতে ২য় সেমিস্টারেও, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নুন্যতম CGPA ২.০০ পেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। অন্যথায়, অকৃতকার্য বলে ঘোষণা করা হবে। একজন শিক্ষার্থী ১ম ও ২য় সেমিস্টারে GPA উন্নতিকরণের জন্য, শুধু C ও D গ্রেড প্রাপ্ত কোর্স (সর্বোচ্চ ২টি কোর্স) পরবর্তী ব্যাচের সাথে চলতি সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। তবে, সেই সুযোগ কোনোভাবেই একবারের বেশী নয়।
অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞাতব্য: ভর্তির বছর হতে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিন বছর সময়সীমার মধ্যে কৃতকার্য হতে হবে। F গ্রেড প্রাপ্ত একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ (১ + ২) = ৩ বার রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে D গ্রেডকে উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করার সুযোগ পাবে।
ইলিমের গ্রেডিং পদ্ধতি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত গ্রেডিং পদ্ধতি অনুযায়ী, ইলিম গানিতিক নম্বর, লেটার গ্রেড এবং গ্রেড পয়েন্ট গণনা করে থাকে। উক্ত গ্রেডিং পয়েন্ট নিচে তুলে দেওয়া হল: